Archive for the ‘নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য (১৮৫৯ – ১৯৩৯)’ Category

>…
ব’সে ব’সে অঙ্ক ক’ষে পারি নে আর ভাই,
কিছুতে আর অ্যানসারটা মিলছে না যে ছাই।
           যোগ ক’রে মিলল না যখন,
           বিয়োগ ক’রে দেখনু তখন,
একে একে গুণ ভাগও ত ক’রতে ছাড়ি নাই,
কিছুতে যে মিলছে না, তার উপায় কোথা পাই !

অঙ্ক নিয়েই খেটে-খেটে
সারা সকাল গেল কেটে,
ইংরাজিটা কখন করি,
গ্রামারই বা কখন পড়ি,
কখন করি হাইজীন আর জিওগ্রাফিটাই !


          মরুকগে’ আর সবকে পারি,
          অঙ্ক নিয়েই মারামারি,
          মাস্টারটা বড় খেঁকি,
          আমার ব্যথা বুঝবে সে কি !
          ছাত্রের কষ্ট দুঃখু ভেবে,
          নিজে কি তাই বুঝিয়ে দেবে ?
          জানে কেবল কানে ধ’রে দাঁড় করানোটাই !

একটি ঐ মাস্টারের জ্বালায়,
কোনও ছেলে স্বস্তি না পায়,
ও-ও এসেছে ইস্কুলে, নে’ অখণ্ড পেরমাই !
তাই মনেতে করেছি ঠিক,
জানলি বীরু, জানলি ফটিক,
জ্বালিয়ে দিয়ে এরিথমেটিক, পালিয়ে কোথাও যাই।

>…
       “মৌমাছি, মৌমাছি,
কোথা যাও নাচি’ নাচি’
দাঁড়াও না একবার ভাই।”
“ওই ফুল ফুটে বনে,
যাই মধু আহরণে,
দাঁড়াবার সময় তো নাই।”

       “ছোট পাখি, ছোট পাখি,
কিচি-মিচি ডাকি ডাকি’
কোথা যাও, বলে যাও শুনি ?”
       “এখন না ক’ব কথা,
আনিয়াছি তৃণলতা,
আপনার বাসা আগে বুনি।”

       “পিপীলিকা, পিপীলিকা,
দল-বল ছাড়ি একা
কোথা যাও, যাও ভাই বলি।”
       “শীতের সঞ্চয় চাই,
       খাদ্য খুঁজিতেছি তাই,
ছয় পায় পিল্ পিল্ চলি।”