Archive for the ‘বিমল গুহ’ Category

>…
আগুন আকাশকে ছুঁতে পারে না
বিশ্বাস আকাশকে ছোঁয়,
বাতাস পাহাড়কে নাড়াতে পারে না
প্রেম পাহাড়কে নাড়ায়,
আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে চোখে রক্তগোলাপ ফুটে আছে
পাহাড়ের গায়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হবো কি-দাক্ষায়ণী ?

বিষাদগ্রস্ত মানুষের মুখ দেখলে আমার আগুনের কথা মনে পড়ে
আমি আলোক বর্তিকা হাতে তোমাকে খুঁজি,
তোমার উদ্দীপ্ত ইচ্ছার কথা ভাবলে
তিল তিল জন্ম নেয় রক্তকণিকায় স্পন্দন
আমি নবসৃষ্টির রূপকার।

তোমার শরীর খারাপ
আমি দিনদুপুরে জোছনার কথা ভাবি
রাতে ঈশ্বরের বিছানায় শুয়ে কবিতা লিখি শ্রান্তি ও অবসাদের
অলৌকিক সুঁই ও সুতোয় তোমাকে সেলাই করি শিল্পের কাঁথায়।
আগুনের কাছে বিশ্বাস রেখে প্রার্থনা করি:
‘তুমি সেরে ওঠো’
অতীতের সব গ্লানি মুছে যাক স্নেহে,
প্রেমপালিতা তুমি হরিণীর মতো যেই কাছে এসে বসো, আমি
ত্রিকালদর্শীর মতো ভবিষ্যতের কথা বলতে বলতে
আকাশের নাভিমূল ছুঁই,
তুমি মহাশ্বেতা।

>…
তোমার অবজ্ঞা পেয়ে ভালবাসা তীব্র হলো আরো।
বিনয় তাড়িত রাত খুলে দেয় চোখের সম্মুখে অন্ধকার
আমিও শরীর আড়মোড়া কেটে দু’পায়ে সরাই বেদনাকে
বিছানার চাদর যেনো রাতভর মলিনতা ধারণ করেছে।
মাঝে মধ্যে নীলিমায় টুকরো টুকরো দুঃখ ছুঁড়ে ফেলি,
টুকরো টুকরো ভালবাসা টুকরো টুকরো গড়িমসি-
দেখি, আমার শরীর জুড়ে ঝাঁকঝাঁক পাখির কুজন
আমাকে পাগল হাওয়ায় দোল দেয়-
             বেদনা ভোলায়
আমাকে দু’হাত ধরে নিয়ে যায় নদীর ওপারে
ভালবাসা যেখানে শিখেছে গড়িমসি।
আমি কবর জেয়ারতের মতো সেইখানে
ফেলেছি চোখের জল ভাগ করে নিয়েছি বিশ্বাস বার বার
আহত হয়েছি। ফিরে এসে দেখি ঘরে
একটি চড়ুই কিচির মিচির শব্দে
আছড়ে পড়ে জানালার শিকে
সেও কি বেদনা বোঝে আমার মতোন,
আমার মতোন সে কি দুঃখী ও বেদনাপীড়িত !

তোমার অবজ্ঞা পেয়ে ভালবাসা তীব্র হলো আরো,
তোমার অবজ্ঞা দেখে একটি চড়ুই এসে বেদনাকে
             ভাগ করে নেয়।