Archive for the ‘আবদার রশীদ (১৯২৮ – )’ Category


বল্ তো বেআক্কেলে পেলিক্যান,
এত বড় ঠোঁট নিয়ে এলি ক্যান ?

ওটা কি কড়াই, ডাল রাঁধবার ?
অথবা নৌকো, ঘাটে বাঁধবার ?
কিংবা কাপড়-ধোয়া গামলা ?
নাকি ওটা আর-কোনো মামলা ?

ঠোঁট তো ঠোঁটের মতো হওয়া চাই-
ঠোট নয় আলমারী চারপাই !

যতটুকু লাগে তোর পেলিক্যান,
তার চেয়ে বেশী তুই পেলি ক্যান্ ?


কেউ কি জানে কখন বসে
তেঁতুল পাতায় ন’জন ?
পটল পেলে সবাই তো খায়,
তুলতে জানে ক’জন ?

.

গুড়ের, পাটের, সব দালালের

সবাই রাখে খবর,

কেউ কি জানে কোথায় থাকে

আসল দালাল ‘ফপর’ ?

(বিস্তারিত…)

চড়ুইভাতির পাশেই নদীর কূল ছিল,
আনন্দে তাই সবার গলাই খুলছিল ।
ফুর্তিতে, খোশ গপ্পেতে মশগুল ছিল,
মাথায় তাদের হাল ফ্যাশানের চুল ছিল ।
জনাচারেক আলুর খোসা ছুলছিল,
গলায় তাদের রুমাল কি টাই ঝুলছিল ।
দলের সাথে তিনঠেঙে এক টুল ছিল,
সেটায় বসে দলের নেতা ঢুলছিল । (বিস্তারিত…)


গরুচোর বলে তারে
ক’রো নাকো তুচ্ছ !
নিন্দুকে অকারণে
রটাচ্ছে কুচ্ছো ।
গরু ছাড়া আর কিছু
করে না তো চুরি সে !
তাও তো করেছে চুরি
মোটে গোটা-কুড়ি সে ।
একদিন কি কাণ্ড
হয়েছিল শোনো ভাই,
আমাদের বাড়ি থেকে
নিয়ে গেল দুটো গাই ! (বিস্তারিত…)


কারে বলি, কত বলি,
আর যে না পারি রে,
চারিদিকে চেয়ে দেখি
শুধু মারামারি রে !
মায়ে মারে, বাপে মারে
সেটা তবু সহা যায়,
‘চাল’ এসে মারে যদি
সে তো বাপু মহা দায় !
‘কাঁচি’, ‘ল্যাঙ’, ‘প্যাঁচ’ এসে
মারে যত ইচ্ছে
যত দাও উপদেশ,
কেবা কানে নিচ্ছে ! (বিস্তারিত…)

[সাবধান : এ ছড়া মুখস্থ করার চেষ্টা করলে সর্দি লেগে যেতে পারে !]

বাঘবাসে ভুগি ডাই ঠাড্ডায়,
ফাল্গুডে পড়িলাব গাড্ডায়,
সর্দিতে হল ডাক বদ্ধ,
পাইডাকো আর কোডো গদ্ধ ।

আব গাছে ধরেছে বুকুল,
গুডগুড্ করে অলিকুল,
টুড্টুডি সজডের গাছে
গাড্ গায় আর খালি ডাচে। (বিস্তারিত…)

>…
[সাবধান : এ ছড়া মুখস্থ করার চেষ্টা করলে সর্দি লেগে যেতে পারে !]

বাঘবাসে ভুগি ডাই ঠাড্ডায়,
ফাল্গুডে পড়িলাব গাড্ডায়,
সর্দিতে হল ডাক বদ্ধ,
পাইডাকো আর কোডো গদ্ধ ।
        আব গাছে ধরেছে বুকুল,
        গুডগুড্ করে অলিকুল,
        টুড্টুডি সজডের গাছে
        গাড্ গায় আর খালি ডাচে।
ডিবগাছে ঝুরুঝুরু ফুল,
বৌবাছি বধুতে আকুল।
বহুয়ার বদির সুবাস
বাতাল হয়েছে বধুবাস !

        চারিদিকে গদ্ধের খেলা,
        তার বাঝে আবিই একেলা।
        বসে আছি বোজা ডাক ডিয়ে
        গদ্ধেরা যায় ফাকি দিয়ে।
ভয়াডক বুশকিলে আছি
এর চেয়ে বরে গেলে বাচি
যতদিড ডাক ছিল খোলা ভাই
ডাকের কি বর্যাদা বুঝি ডাই ।

>…
কারে বলি, কত বলি,
              আর যে না পারি রে,
চারিদিকে চেয়ে দেখি
              শুধু মারামারি রে !
মায়ে মারে, বাপে মারে
              সেটা তবু সহা যায়,
‘চাল’ এসে মারে যদি
              সে তো বাপু মহা দায় !
‘কাঁচি’, ‘ল্যাঙ’, ‘প্যাঁচ’ এসে
              মারে যত ইচ্ছে
যত দাও উপদেশ,
              কেবা কানে নিচ্ছে !

‘লাফ’ মারে, ‘গুল’ মারে,
              ‘আড্ডা’ও মেরে যায়,
‘দৌড়’ এসে মেরে গেলে
              তারে আর কেবা পায় !
‘চাপ’ মারে ‘ছাপ’ মারে
              ‘ঝাঁপ’ মারে ভাই রে,
‘উঁকি’ মারে ‘ঝাঁকি’ মারে
              মারে কত ‘ঘাই’ রে !
‘ইয়ার্কি’ মারে যদি
              চুপ মেরে চেপে যাই
‘ফুটানি’ যখন মারে
              সব চেয়ে ক্ষেপে যাই ।
এ রকম পাইকারী
              মারেও না হলে হুঁশ-
‘টিটকারী’ মারে এসে
              না হয়তো মারে ঢুঁশ্ !

>…
গরুচোর বলে তারে
               ক’রো নাকো তুচ্ছ !
নিন্দুকে অকারণে
               রটাচ্ছে কুচ্ছো ।
গরু ছাড়া আর কিছু
               করে না তো চুরি সে !
তাও তো করেছে চুরি
               মোটে গোটা-কুড়ি সে ।
একদিন কি কাণ্ড
               হয়েছিল শোনো ভাই,
আমাদের বাড়ি থেকে
               নিয়ে গেল দুটো গাই !

কিন্তু হলে কি হবে,
               দেখি রাত পোহালে,
দুধ দু’য়ে হাঁড়ি ভ’রে
               রেখে গেছে গোহালে !
সেই কথা ভেবে, আহা,
               আজো হই মুগ্ধ,
ধনেপ্রাণে না মেরে সে
               রেখে গেল দুগ্ধ !
নিন্দুকে তবু বলে,
               “ব্যাটা মহা শয়তান !
অভিধান-মতে এটা
               গরু মেরে জুতোদান !”

>…
চড়ুইভাতির পাশেই নদীর কূল ছিল,
আনন্দে তাই সবার গলাই খুলছিল ।
ফুর্তিতে, খোশ গপ্পেতে মশগুল ছিল,
মাথায় তাদের হাল ফ্যাশানের চুল ছিল ।
            জনাচারেক আলুর খোসা ছুলছিল,
            গলায় তাদের রুমাল কি টাই ঝুলছিল ।
            দলের সাথে তিনঠেঙে এক টুল ছিল,
            সেটায় বসে দলের নেতা ঢুলছিল ।

আরো ক’জন বালতিতে জল তুলছিল
জল তোলাতেও অনেক হুলুস্থুল ছিল,
কেউবা গাছে দোলনা ছাড়াই দুলছিল,
খানিক দূরে খালের ওপর পুল ছিল
সেই খানে এক ডালিম গাছে ফুল ছিল,
ডালিম গাছের মগডালে বুলবুল ছিল।
            সবাই তখন বাড়ির কথা ভুলছিল,-
            চড়ুইভাতির আনন্দটাই মূল ছিল ।
            জানতো না কেউ কোথায় যে ভীমরুল ছিল,
            কামড় খেয়ে বুঝলো, তাদের হুল ছিল ।