Archive for the ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (১৯৪৪ – )’ Category

>…

আজ হারিয়ে যাওয়া অরণ্যের গভীরে
সে শুনতে পাচ্ছে শত্রুর আওয়াজ, পালাচ্ছে ছুটে
অন্যদের থেকে নয়, নিজেরই কাছ থেকে
পালাচ্ছে সেইসব সংঘবদ্ধতা জড়িয়ে ছিল আমাদের
জীবনের মানে থেকে
কারণ শ্ধু একবার,শুধুই একবার
একটাই অক্ষর বা নিঃস্তব্ ধ খানিকটা বিরতি |
অতৃপ্ত ঢেউয়ের শব্ দ
ঠেলে দেয় সত্যের মুখোমুখি আমায়
ব্যাখ্যার কিছু নেই
বলারও কিছু নেই, এই সব
অরণ্যের দরজাগুলি বন্ধ সব
সূর্য পরিক্রমা করে, জাগাতে গাছের পাতা
চাঁদ উঠছে সাদা ফলের মতন
মানুষ নিচু করছে মাথা
ভবিতব্যের কাছে |

>…

তুমি বলেছিলে সূর্য উঠবে,
চলো যাই,
সেই সব অজানা পথ ধরে
মুক্ত করতে তোমার প্রিয়
কুমির-গড়ন সবুজ স্বদেশ |

চলো যাই
সব অপমান ছুঁড়ে ফেলে —
চোখের উপর অন্ধকার বিদ্রোহী তারা
আমরা জিতব,
মৃত্যুকে হঠাব বন্দুকের মুখে |

গুলির আওয়াজে
অরণ্য কাঁপবে বিস্ময়ে
শান্ত আমরা
দাঁড়াব তোমার পাশে |
তোমার কণ্ঠস্বর চারিদিকে – জমির লড়াই,
সুবিচার, রুটি, স্বাধীনতা |
তোমার সুরে গলা মিলিয়ে
আমরা তোমার পাশে |

শত্রুকে নিখুঁত আক্রমণে
দিনান্তের শেষে,
শেষ যুদ্ধের জন্য
আমরা তোমার পাশে |

বুনো জন্তুটা চাটবে তার ক্ষত
কিউবার বর্ষার ঘায়ে ক্ষিপ্ত
আমরা তোমার পাশে
দাঁড়াব গৌরবে |

কখনো ভেব না, আমাদের সততা
ওরা করবে শেষ |
রঙচঙে মাছির দলের উপহার নয়,
আমরা চাই —
ওদের বন্দুক, বুলেট, পাথর
আর কিছু নয় |

যদি লোহাও দাঁড়ায় মাঝে
কিউবার অশ্রু আবরণ
ঢাকা দেবে গেরিলার হাড় মাংস
আমেরিকার ইতিহাসের যাত্রায়
এর বেশি কিছু নয় |