Archive for the ‘রাধারমণ দত্ত (১৮৩৩ – ১৯১৬)’ Category

>…
শ্যামল বরণ রূপে মন নিল হরিয়া
কুক্ষণে গো গিয়াছিলাম জলের লাগিয়া
কারো নিষেধ না মানিয়া সখি গো ।।
আবার আমি জলে যাব ভরা জল ফেলিয়া
জল লইয়া গৃহে আইলাম প্রাণটি বান্ধা থুইয়া
আইলাম শুধু দেহ লইয়া সখি গো ।।
কি বলব সই রূপের কথা শোন মন দিয়া
বিজলি চটকের মতো সে যে রইয়াছে দাঁড়াইয়া
আমার বাঁকা শ্যাম কালিয়া সখি গো ।।
ভাইবে রাধারমণ বলে মনেতে ভাবিয়া
মনে লয় তার সঙ্গে যাইতাম ঘরের বাহির হইয়া
আমি না আসব ফিরিয়া সখি গো ।।

>…
আমি তোমায় ডাকি গুরু হে
ডাক দিলে ডাক শুনো না ।
সাধন-ভজন কিছুই জানি না ।।
গুরু গুরু আমি তোমার অধম ভক্ত
লোহা হতে অধিক শক্ত
আগুন দিলে লোহা গলে
গুরু আমার মন তো গলে না ।।
ভাইবে রাধারমণ বলে ভবে আইলাম অকারণে
আমার মনের এই বাসনা, গুরু রাঙাচরণ ছাড়ব না ।।

>…
প্রাণ সখিরে
ঐ শোন কদম্বতলে বাঁশি বাজায় কে ।
বাঁশি বাজায় কে রে সখি, বাঁশি বাজায় কে ।।
এগো নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশি
তারে আনিয়া দে ।
অষ্ট আঙ্গুল বাঁশের বাঁশি
মধ্যে মধ্যে ছেদা
নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশি
কলঙ্কিনী রাধা ।।
কোন বা ঝাড়ের বাঁশের বাঁশি
ঝাড়ের লাগাল পাই ।
জড়ে পেড়ে উপরাইয়া
সায়রে ভাসাই ।।
ভাইবে রাধারমণ বলে
শুন গো ধনি রাই ।
জলে গেলে হবে দেখা
ঠাকুর কানাই ।।

>…
কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া ।
অন্তরে তুষেরই অনল জ্বলে গইয়া গইয়া ।।
ঘর বাঁধলাম প্রাণবন্ধের সনে কত কথা ছিল মনে গো ।
ভাঙ্গিল আদরের জোড়া কোন জন বাদী হইয়া ।।
কার ফলন্ত গাছ উখারিলাম কারে পুত্রশোকে গালি দিলাম গো ।
না জানি কোন অভিশাপে এমন গেল হইয়া ।।
কথা ছিল সঙ্গে নিব সঙ্গে আমায় নাহি নিল গো ।
রাধারমণ ভবে রইল জিতে মরা হইয়া ।।